আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

11/09/2014

কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্য

কক্সবাজার জেলাঃ
কক্সবাজার জেলার ভূ-প্রকৃতি ভৌগলিক অবস্থান এই জেলার মানুষের ভাষা সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে এই জেলার মানুষ সাধারনত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ,তবে কথ্য ভাষায় অনেক ক্ষেত্র কক্সবাজার কেন্দ্রিক শব্দের ব্যবহার লক্ষ করা যায়যেমন- বাংলাভাষায়পরিচিতকারোসাথেদেখাহলেআমরাজানতেচাই, আপনিকেমনআছেনএইকথাটিএখানকারমানুষবলে  এভাবে, ‌''য়নেঁগমআছন্নে?'' ঐতিহাসিক ভাবে অঞ্চলের মানুষের সাথে বর্তমান মায়ানমার পুর্বে যাকে আরাকান নামে অভিহিত করা হতো তাদের সাথে ব্যাপক গমনাগমনের সর্ম্পক ছিল যা এখন সীমিত আকারে হলেও অটুট রয়েছে কারণে আরকানের ভাষার কিছু কিছু উপাদান  কক্সবাজারের কথ্য ভাষায় মিশ্রিত হয়ে গেছে এই উপজেলায় নৃতাত্বিক রাখাইন জনগোষ্ঠী বসবাস করেযাদের ভাষার প্রভাব স্থানীয় ভাষায় লক্ষ্য করা যায়
সমুদ্র তীরবর্তী শহর হিসেবে কক্সবাজার জেলার সংস্কৃতি মিশ্র প্রকৃতির পুর্ব হতেই বার্মার সাথে অঞ্চলের মানুষের সম্পর্ক থাকায় এবং রাখাইন নামক নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করায় কক্সবাজারে বাঙালী এবং বার্মিজ সংস্কৃতির এক অভূতপুর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায় বিশেষ করে রাখাইন সংগীত এবং নৃত্যকলা অঞ্চলতো বটেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত সমুদ্রতীরবর্তী হওয়ায় অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল হতেই দুর্যোগিএবং উত্তল সাগরের সাথে সংগ্রাম করে টিকে রয়েছে বিধায় স্থানীয সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যম উপস্থাপনায় সংগ্রামের সেই চিত্র ফুটে ওঠে, বিশেষ করে জেলে সম্প্রদায়ের প্রাত্যাহিক জীবন
প্রাচীন ঐতিহ্য:
১৬০০---১৭০০ খৃষ্টাব্দে শাহ সুজার আমলেএকটি মসজিদ তৈরী হয়েছিল এটি চৌধুরী পাড়া মসজিদ বা আজগবি মসজিদ নামেপরিচিত এটি কক্সবাজার সদরের বি.ডি.আর ক্যাম্পের উত্তর দিকে অবস্থিত।
প্যাগোড়া (জাদী):
১৭৯০ ইংরেজী সালের দিকে বার্মিজরাআরাকান বিজয়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায় এটি নির্মাণকরে তারা এটিকে স্মৃতিচিহ্ন বলে কক্সবাজার সদর, রামু টেকনাফের পাহাড়বা উচুঁ টিলায় ধরনের প্যাগোড়া দেখা যায়
অগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং:
কক্সবাজার সদরে ছোট বড় মিলিয়ে৭টিরও বেশী বৌদ্ধ ক্যাং রয়েছে আগ্গা মেধা ক্যাং মাহাসিংদোগীক্যাং সবচেয়েবড় সবে স্থাপিত বৌদ্ধ মুর্তিগুলো দেখবার মতো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা বিষু উৎসব ক্যাং উদযাপনহয় 
রামকোট তীর্থধাম:
এটি রামকোট বনাশ্রমের পার্শ্বেরপাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ৯০১ বাংলা সনে স্থাপিত কথিত আছে রাম-সীতা বনবাসকালে এই রামকোটে অবস্থান করেছিল তীর্থধামে মন্দিরের পাশাপাশি আলাদা একটিবৌদ্ধ বিহারে ধ্যানমগ্ন ছোট একটি বৌদ্ধমূর্তিও রয়েছে জনশ্রুতি আছে, দুটিধর্ম পাশাপাশি শান্তিতেসহাবস্থানের প্রমাণ স্বরূপ সম্রাট অশোকের সময়েএইমূর্তি স্থাপিত হয়
মাথিনের কূপ:
উপন্যাসিক ধীরাজ ভট্টাচার্য উনবিংশশতাব্দীর প্রথমদিকে এস.আই. হিসাবে টেকনাফ থানায় বদলী হয়ে এসেছিলেন। তখনটেকনাফের নাম করা রাখাইন জমিদার ওয়াংথিনের একমাত্র আদুরে কন্য মাথিন থানারসামনের কুয়া থেকে নিয়মিত পানি নিতে আসতো সকাল বিকাল পানি নিতে আসা ছিলমাথিনের সখ পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিদিন থানার বারান্দায় বসে বসে অপূর্বসুন্দরী মাথিনের পানি নিতে আসা যাওয়া দেখতেন আস্তেআস্তে ধীরাজভট্টাচার্যের সংগে মাথিনের চোখা চোখি এবং পরে তাপ্রেমে পরিণত হয়
বিয়েকরতে ব্যর্থ হলে, মাথিন বিচ্ছেদের জ্বালায় তিলে তিলে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণকরে মাথিনের অতৃপ্ত প্রেমের ইতিহাসের নীরব সাক্ষী মাথিনের কুপ টেকনাফথানা প্রাঙ্গনে একুপের অবস্থান বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা ১৯৯৪সালে বাঁশের তৈরী কূপটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন পরবর্তীতে জেলা পরিষদ থেকেএদিকে সংস্কার করা হয় এখন কূপটি দেখতে খুবই আকর্ষনীয় সেখানে প্রেমেরসংক্ষিপ্ত ইতিহাসও লেখা রয়েছে ইদানীং উল্লিখিত কাহিনী অবলম্বনে স্থানীয়শিল্পীদের নিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্রও নির্মিত হয়েছে
মা’ অষ্টভূজা:
মহেশখালী আদিনাথশিব মন্দিরের পার্শ্বেঅষ্টভূজানামে অপর একটি বিগ্রের মূর্তি রয়েছে
কক্সবাজারকস্তুরাঘাট হতে নৌযানে ৪৫-৫৫ মিনিট আর স্পীডবোটে ১৫-১৮ মিনিট সময় লাগে।মহেশখালীর গোরকঘাটা জেটি হতে রিক্সা যোগে আদিনাথ মন্দির যাওয়া যায়

 


No comments:

Post a Comment