আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

12/19/2015

গ্রাম্য স্মৃতি/Rural memory



বৃষ্টি ভেজা জ্বলের নিচে কর্দমাক্ত মাটি থাকে!
কাঁদার উপরে হেঁটে গ্রাম্য পথ পাড়ি দেয়া যে কত
আনন্দের হতে পারে তা হয়তো কাঊকে বুঝাতে পারবোনা!!
জীবনের খুব অল্প সময় গ্রামে কাটিয়েছি,
গ্রাম বাংলার ঢুলো মাখা গোধূলি,কর্দমাক্ত পথ,
কুয়াশা ঢাকা ভোঁর,শিশির ভেজা ঘাস অথবা
গাছির খেজুর গাছ থেকে নামানো সুমিষ্ট খেজুর রস
সবসময়ে মিস করি!

শীতের ভোরে রাখালের সাথে, ফসলের মাঠে ধান কাটতে যাওয়া।
সন্ধ্যার পরে গরু দিয়ে ধান মাড়াই অথবা গরুর হাল চাষ,
ধানের আটির পালার মধ্যে লুকিয়ে থাকার, শৈশবের সেই আনন্দ ঘন
মুহূর্ত কখনো ভোলা যাবেনা।
শহর কখনো আমার ভাল লাগেনা কিন্তু বাস্তবতা, পারিবারিক জীবন,
শিক্ষা জীবন ও কর্মজীবন শহর কেন্দ্রিক হওয়াতে এখন আর গ্রামে যাওয়াই
হয়ে ঊঠেণা।
গ্রাম কে সবসময়ে অনুভব করি শিহরিত হই রাতের আধারের ভূতের গল্প গুলো মনে করে!!
খালে শুঁকিয়ে গেলে মাছ ধরা, ছাবি ও বঁড়শী দিয়ে মাছ ধরা,চাই পাতা,পুকুর সেঁচে মাছ ধরা।
ফসলের মাঠে ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে তার বার্ষিক রুজিতে ভাগ বসানো।ঝড়ের দিনে কাঠের তৈরি দোতালা ঘরের জাণালা দিয়ে ঝড় দেখা ঝড় শেষে আম কুড়ানো, খোলা মাঠে ঘুড়ি উড়ানো,
ঝিঝি ও জোণাক পোকা ধরা,সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু তাড়িয়ে আনা,

রাতে সবাই মিলে গোল্লা ছুট দাড়িয়াবান্ধা খেলা, সেইসব সৃতি সবসময়ে মনে থাকবে!!
শহরে জীবনের সাথে এতভাবে জরিয়ে গেছি হয়তো কখনই আর গ্রামে ফিরে যেতে পারবোনা কিন্তু গ্রামের সৃতি ধারণ করে রাখবো আমৃত্যু!!! 

No comments:

Post a Comment