আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

12/11/2014

মাকড়সার জাল(Meshwork)





মাকড়সার জাল
জীবজগতের এক আশ্চর্য শৈল্পিকতার নিদর্শন হল মাকড়সার জাল!
এইজাল তৈরি হয় মাকড়সার মুখের একধরনের লালা থেকে।
এই লালাতে আঠালোজাতীয় পদার্থ থাকে।এই জালে অন্যান্য
কীট পতঙ্গ এসে ধরা দ্যায় আর মাকড়সা এই কীটপতঙ্গ ভক্ষণ করে।
কিন্তু মাকড়সার জালের এক অজানা কাহিনী রয়েছে, এই জালে অন্যান্য
কীট পতঙ্গ ধরাপড়লেও মাকড়সা কেন ধরা পড়েনা? এই বিষয়টি
সবার অজানা!
মাকড়সার বিচিত্র জটিল জালের মধ্যে সব ফিনফিনে সুতোই আঠালো
হয়না, ওর মধ্যে কিছু অংশ আঠাহীন নিরাপদ সুতাও রয়েছে।
মাকড়সা নিজে যেহেতু জাল বোনে সেহেতু সে তার জালের ভাল অংশ
গুলোর সাথে পরিচিত থাকে,জাতে করে সে জালের জটিল অংশ গুলো সে
এড়িয়ে চলে।
জালের মধ্যে যে মজবুত সুতগুলো আড়াআড়ি থাকে অনেকটা সাইকেলের
স্পোক এর মত এবং এই জাল গুলোই মূলত আঠা ছাড়া।
মাকড়সার পায়ের স্পর্শঅনুভূতি খুব তীক্ষ্ণ।
সুতরাং এই বৈশিষ্টের কারণে মাকড়সা অনায়াসে বুঝতে পারে কোথায়
পা রাখা নিরাপদ।


12/03/2014

বেগম খালেদা জিয়া



বেগম খালেদা জিয়া, কারাগার,গ্রেফতার,আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনীতিতে আপোষহীন একজন দেশপ্রেমিক নেত্রীর নাম.........বেগম খালেদাজিয়ার জাতীয় ও সংগ্রামী দেশপ্রেমিক নেত্রী হয়ে উঠার পূর্ব ইতিহাসের কিছু অংশ সকলকে জানানোর জন্য তুলে ধরলাম..................

বেগম খালেদা জিয়া (জন্ম আগস্ট ১৫, ১৯৪৫) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান| তিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সালএবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি বাংলাদেশের প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। তাঁর পিতামহ হাজী সালামত আলী, মাতামহ জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। তার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১ম ভাইস-চেয়ারম্যান । তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো একজন ব্যবসায়ী। এছাড়া আরাফাত রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন। ২ জুলাই সিদ্ধেশরীতে জনাব এস আব্দুল্লাহর বাসা থেকে পাক সেনারা তাকে দুই ছেলে সহ বন্দী করে। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান।

১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভুত্থ্যানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মিদের আহ্ববানে তিনি ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলতঃ বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।

১৯৮৩ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। বেগম জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাত দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনের দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙ্গে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচ দলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া "এরশাদ হটাও" এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙ্গে দেন। পুনরায় শুরু হয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর একটানা নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।

১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট চার বার তিনি গ্রেফতার হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হন।

সর্বশেষ তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দূর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ গ্রেফতার হন।২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন মামলারই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।

১৩ নভেম্বর ২০১০ বেগম জিয়া তার ২৮ বছরের আবাসস্থল ছেড়ে যান। তিনি অভিযোগ করেন তাকে বলপ্রয়োগে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিনি স্বেচ্ছায় বাসা ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে জিয়াউর রহমানের সাথে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যূত্থানে নিহত হলে ১২ জুন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের ওই বাড়িটি খালেদার নামে বরাদ্দ দেন।

সংগ্রহীত ও সংকলিত (তানভীর হায়দার রনি)



12/01/2014

Moa(Bird)




মোয়া (পাখি)

বিসালাকায় এক পাখি কিন্তু
উড়তে পারেনা,
এইরকম কোন পাখির কথা বল্লেই
সবাই যে পাখিটির কথা মনে করবেন
সেই পাখিটি হল উটপাখি।
আর যে সকল পাখি উড়তে পারেনা
তার মধ্যে রয়েছে,ইমূ,কেশোয়াড়ী,পেঙ্গুইন ইত্যাদি
কিন্তু এর বাইরে এমন একটি পাখি ছিল যারা
উড়তে পারতোনা,ছিল বলছি এই অর্থে
যে এই পাখিটিও ডোডো পাখির মত
এখন আর নাই!!!!!
পাখিটির নাম মোয়া।
এই পাখিটি কিউই অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের
স্থানিক একদল বৃহদাকার বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি।
এরা আকারে হাতীর কাছা কাছি দীর্ঘের পাখি ছিল।


এর উচ্চতা গলা টান অবস্থায় ৩.৬ মিটার(প্রায় ১২ ফুট) এবং ওজন ২৩০-২৫০ কেজি
(৫১০পাঊণ্ড) পর্যন্ত হত।এদের উচ্চতা ১০-১২ ফুট গলা জিরাফের ন্যায় লম্বা।
এদের ঠোঁট ছিল খাটো এবং চার আঙ্গুল বিশিষ্ট ভারি পা ছিল।
এই দশাসই পাখির কোন ডানা ছিলনা বিধায় তারা
উড়তে পারতোনা।এরা বেশ বড়সড় মাপের ডিমও পারতো।
এদের ডিম নিয়েও রয়েছে নানা কল্প কাহিনী।
তবে যানা যায় এদের ডিমের ব্যাসার্ধ ছিল প্রায় ৭ ইঞ্চি।
এরা যেমন ছিল শক্তিবাজ তেমনি দৌড়াতেও পারতো।
মোয়া ছিল তৃণভভোজী।মূলত গাছের পাতা খেয়েই এরা জীবন ধারণ করত।
কিন্তু আজ এই পাখিটি আমাদের মাঝে সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত।
মোয়া বিলুপ্তির সময়কাল নির্ণেয় বিভিন্ন তা রয়েছে।
অনেকের মতে ১৪০০ সালের দিকে মোয়া সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়
কিন্তু কার কার মতে মোয়া ১৭০০ সালে আবার কার মতে মোয়া
১৯০০ সালের প্রথম দিকে বিলুপ্ত হয়।
মোয়া বিলুপ্তির বিভিন্ন কারণ খুঁজে পাওয়া গেলেও
হাষ্ট ঈগল ও মাওরি আদিবাসীদের বিশেষ আঁচার-অনুষ্ঠান ও
মাঊরির উৎসবে মোয়ার হাড়ের ব্যাবহারের কারণে মোয়া
পাখি বিলুপ্ত হয়ে থাকতে পারে।



তাছাড়া কথিত আছে মোয়ার ডিমের খোলসে আদিবাসীরা মৃতদেহ কবর দিত।
এই কারণেও হয়তোবা মোয়ার প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে।
যাই হোক মোয়া আর এই পৃথিবীর বুকে নেই এটাই সত্য.........