আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

12/01/2014

Moa(Bird)




মোয়া (পাখি)

বিসালাকায় এক পাখি কিন্তু
উড়তে পারেনা,
এইরকম কোন পাখির কথা বল্লেই
সবাই যে পাখিটির কথা মনে করবেন
সেই পাখিটি হল উটপাখি।
আর যে সকল পাখি উড়তে পারেনা
তার মধ্যে রয়েছে,ইমূ,কেশোয়াড়ী,পেঙ্গুইন ইত্যাদি
কিন্তু এর বাইরে এমন একটি পাখি ছিল যারা
উড়তে পারতোনা,ছিল বলছি এই অর্থে
যে এই পাখিটিও ডোডো পাখির মত
এখন আর নাই!!!!!
পাখিটির নাম মোয়া।
এই পাখিটি কিউই অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের
স্থানিক একদল বৃহদাকার বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি।
এরা আকারে হাতীর কাছা কাছি দীর্ঘের পাখি ছিল।


এর উচ্চতা গলা টান অবস্থায় ৩.৬ মিটার(প্রায় ১২ ফুট) এবং ওজন ২৩০-২৫০ কেজি
(৫১০পাঊণ্ড) পর্যন্ত হত।এদের উচ্চতা ১০-১২ ফুট গলা জিরাফের ন্যায় লম্বা।
এদের ঠোঁট ছিল খাটো এবং চার আঙ্গুল বিশিষ্ট ভারি পা ছিল।
এই দশাসই পাখির কোন ডানা ছিলনা বিধায় তারা
উড়তে পারতোনা।এরা বেশ বড়সড় মাপের ডিমও পারতো।
এদের ডিম নিয়েও রয়েছে নানা কল্প কাহিনী।
তবে যানা যায় এদের ডিমের ব্যাসার্ধ ছিল প্রায় ৭ ইঞ্চি।
এরা যেমন ছিল শক্তিবাজ তেমনি দৌড়াতেও পারতো।
মোয়া ছিল তৃণভভোজী।মূলত গাছের পাতা খেয়েই এরা জীবন ধারণ করত।
কিন্তু আজ এই পাখিটি আমাদের মাঝে সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত।
মোয়া বিলুপ্তির সময়কাল নির্ণেয় বিভিন্ন তা রয়েছে।
অনেকের মতে ১৪০০ সালের দিকে মোয়া সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়
কিন্তু কার কার মতে মোয়া ১৭০০ সালে আবার কার মতে মোয়া
১৯০০ সালের প্রথম দিকে বিলুপ্ত হয়।
মোয়া বিলুপ্তির বিভিন্ন কারণ খুঁজে পাওয়া গেলেও
হাষ্ট ঈগল ও মাওরি আদিবাসীদের বিশেষ আঁচার-অনুষ্ঠান ও
মাঊরির উৎসবে মোয়ার হাড়ের ব্যাবহারের কারণে মোয়া
পাখি বিলুপ্ত হয়ে থাকতে পারে।



তাছাড়া কথিত আছে মোয়ার ডিমের খোলসে আদিবাসীরা মৃতদেহ কবর দিত।
এই কারণেও হয়তোবা মোয়ার প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে।
যাই হোক মোয়া আর এই পৃথিবীর বুকে নেই এটাই সত্য.........




No comments:

Post a Comment