আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

1/12/2015

পাখির বিবর্তন ও শ্রেণীবিন্যাস



পাখিদের শ্রেণীবিন্যাসকরণ প্রথম ঘটে ফ্রান্সিস উইলোবি ও জন রে'র হাত ধরে। ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাদের গ্রন্থ অর্নিথোলজিতে (Ornithologiae) তারা পাখির শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৭৫৮ সালে শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার জনক ক্যারোলাস লিনিয়াস শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার উন্নয়ন ঘটান এবং দ্বিপদ নামকরণের প্রবর্তন করেন যা এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। লিনিয়াসের নিয়মে পৃথিবীর সকল পাখি প্রজাতিকে অ্যাভিস (Aves) শ্রেণীর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। জাতিজনি শ্রেনীবিন্যাসে অ্যাভিসকে ডাইনোসরের শাখা থেরোপোডার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।সরীসৃপ আর্কোসরিয়া ক্লেডের জীবিত বংশধর হচ্ছে অ্যাভিস এবং তাদের সহযোগী গোষ্ঠী ক্রোকোডিলিয়া। ১৯৯০-এর শেষের দিকে অ্যাভিস শ্রেণীকে আধুনিক সকল পাখি প্রজাতি এবং আর্কিওপ্টেরিক্সের উৎস হিসেবে বিবৃত করা হয়।পরবর্তীতে জ্যাক গোথিয়ে প্রদত্ত আরও পূর্বের একটি প্রস্তাবনা একুশ শতকে গুরুত্ব পেতে শুরু করে। গোথিয়ে অ্যাভিস শ্রেণীতে কেবলমাত্র আধুনিক পাখিদের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষপাতি ছিলেন, যাকে তিনি নামকরণ করেন ক্রাউন গ্রুপ হিসেবে। তিনি জীবাশ্ম থেকে পাওয়া দল ও প্রজাতিসমূহের জন্য আলাদা আরেকটি দল অ্যাভিলি-এর প্রস্তাব করেন। মূলত চার উপাঙ্গবিশিষ্ট থেরোপড ডাইনোসরদের সাথে আর্কিওপ্টেরিক্সের সম্পর্ক নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনের জন্যই তাঁর এই প্রস্তাবনা।

সব আধুনিক পাখিই ক্রাউন গ্রুপ নিওর্নিথিস-এর অন্তর্ভুক্ত। এটি আবার দুটি বড় ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগ হল প্যালিওগন্যাথি; বেশিরভাগ উড্ডয়নে অক্ষম পাখিরা এ দলের অন্তর্ভুক্ত। আরেকটি ভাগের নাম নিওগন্যাথি; যাতে আর বাকি সব পাখিরা অন্তর্ভূক্ত। ফলে এই উপবিভাগটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ। অনেকসময় এই দুটি বড় দলকে মহাবর্গ নামে শ্রেণীবিন্যাসগত ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শ্রেণীবিন্যাসগত দিক থেকে পৃথিবীতে বর্তমানে জীবিত পাখি প্রজাতির সংখ্যা ৯,৮০০ থেকে ১০,০৫০টি।

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে নেয়া

1/10/2015

পাখি (BIRD)


পাখি (ইংরেজি: Bird) পালক ও পাখাবিশিষ্ট দ্বিপদী প্রাণী। কিছু পতঙ্গ এবং বাদুড়ের পাখা থাকলেও কেবল পাখিদেরই পালক আছে। পৃথিবীতে পাখির প্রজাতি রয়েছে প্রায় ১০০০০ টি। এমনিতে সব জীবিত পাখিই নিঅর্নিথিস উপশ্রেণীর অন্তর্গত। পাখির শ্রেণীকে (Aves) মোট ২৩টি বর্গ, ১৪২টি গোত্র, ২০৫৭টি গণ এবং ৯৭০২টি প্রজাতিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হচ্ছে এবং পুরোনো কিছু প্রজাতিকে বিভাজন করে নতুন প্রজাতি নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত জীবাশ্ম নির্দেশ করে যে পাখিদের আবির্ভাব হয়েছিল জুরাসিক যুগে, প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে। জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের মতে, সাড়ে ৬ কোটি বছর আগের ক্রিটেশাস-প্যালিওজিন বিলুপ্তির পর পাখিরাই চার উপাঙ্গবিশিষ্ট ডাইনোসরের একমাত্র বংশধর। জীবিত পাখিদের মধ্যে মৌ হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট (মাত্র ৫ সেন্টিমিটার বা ২ ইঞ্চি) আর উটপাখি সবচেয়ে বড় (২.৭৫ মিটার বা ৯ ফুট)।

মাছ, উভচর, সরীসৃপ এবং স্তন্যপায়ীদের মত পাখিরাও মেরুদণ্ডী প্রাণী। আধুনিক যুগের পাখিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- পালক, দন্তবিহীন চঞ্চু, শক্ত খোলকবিশিষ্ট ডিম যার সাহায্যে এরা এদের বংশধর রেখে যায়, চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট হৃৎপিণ্ড, উচ্চ কোষীয় জৈব-রাসায়নিক হার, হালকা কিন্তু মজবুত হাড় ইত্যাদি। সব পাখিরই ডানা আছে, একমাত্র ব্যাতিক্রম অধুনালুপ্ত নিউজিল্যান্ডের মোয়া। সামনের উপাঙ্গ বিবর্তিত হয়ে আসলে ডানার রূপ লাভ করেছে। প্রায় সব পাখি উড়তে পারে এবং উড্ডয়নে অক্ষম পাখিগুলিও (যেমন উটপাখি, পেঙ্গুইন) উড়তে সক্ষম পূর্বপুরুষের বিবর্তনের ফসল। উড়তে অক্ষম পাখিদের বেশিরভাগই কতিপয় দ্বীপের স্থানিক বাসিন্দা। পাখিদের পরিপাক ও রেচন প্রক্রিয়া তাদের সহজভাবে ওড়ার জন্য অনুকূল এবং অন্য সব প্রাণীদের থেকে একেবারেই আলাদা। পাখিদের মধ্যে কয়েকটি প্রজাতি, বিশেষত কাক ও টিয়ার কয়েকটি প্রজাতি, প্রাণিজগতে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। কয়েক প্রজাতির পাখি ছোটখাটো হাতিয়ার বানানো ও তা ব্যবহারের কৌশল রপ্ত করেছে। কিছু কিছু সামাজিক পাখির মধ্যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান সঞ্চালন করে যেতে দেখা যায়।

পাখিদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যায়। এ ধরণের স্থানান্তর থেকে বেশি দেখা যায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের অনিয়মিত গতিবিধি। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। এরা দৃষ্টিগ্রাহ্য সংকেত এবং ডাক বা শিষের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে। বিভিন্ন সামাজিক কার্যকলাপেও এরা অংশ নেয়, যেমন- একই ঋতুতে প্রজননে অংশ নেয়া, একসাথে কলোনি করে বাসা করা, ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো, দলবদ্ধ ভাবে খাবার খোঁজা এমনকি দল বেঁধে শত্রুকে তাড়িয়ে দেয়া। অধিকাংশ পাখিই কেবলমাত্র একটি প্রজনন ঋতুর বা সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য একগামী, সারা জীবনের জন্য জুটি বাঁধার ব্যাপারটি কমই দেখা যায়। বহুপতি বা বহুপত্নী প্রথাও পাখিদের মধ্যে দেখা যায়। পাখিরা সাধারণত তাদের প্রস্তুতকৃত বাসাতেই ডিম পাড়ে এবং বাবা-মা তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বেশিরভাগ পাখি বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন সময় পর্যন্ত বাচ্চার প্রতিপালন করে।

পাখির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। খাদ্য হিসেবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। মাংসের জন্য এদের বহু প্রজাতিকে শিকার করা হয় আর কিছু প্রজাতিকে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়। ঘরের পোষা পাখি হিসেবে টিয়া, ময়না, তোতা, চন্দনা, বহু প্রজাতির গানের পাখি আর বাহারি পাখির বেশ কদর রয়েছে। পাখির বিষ্ঠা থেকে উৎপন্ন গুয়ানো সার হিসেবে উৎকৃষ্ট ও এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে। সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এমনকি সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাখি এক বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। ১৭শ শতক থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপে ১২০ থেকে ১৩০টি পাখি প্রজাতি দুনিয়া থেকে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। তারও আগে আরও একশ'টির মত প্রজাতি একই ভাগ্য বরণ করেছে। মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বর্তমানে প্রায় বারোশ'র মত প্রজাতি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।



1/07/2015

দুর্বল রাষ্ট্র VS মীরজাফর



রাষ্ট্র কখনো দুর্বল মানুষ সৃষ্টি করেনা,
কারন রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় শক্তিশালী কোন
অপঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে।
সেই প্রতিবাদ কখনো দুর্বল মানুষের দ্বারা
সম্ভব নয়, যদি দুর্বল কিছু তৈরি হয়,
তাহলো রাষ্ট্র ক্ষমতার অবৈধ প্রশাসকের
অবৈধ অনুশাসনের প্রভাবে,
যেমনি ভাবে দুর্বল হয়ে পরেছিল
নবাব সিরাজের অনুসারীরা একজন
মীরজাফরের প্রভাবে..................
.............................................

1/06/2015

দেশপ্রেমিক



দেশ সম্পর্কে চিন্তা করতে হলে অথবা
দেশ কে ভালবাসতে হলে মনের উচ্চবিত্ততার
প্রয়োজন রয়েছে। কেননা সঙ্কীর্ণ মনের মানুষের
পক্ষে নিজের আত্মতুষ্টিকেই জয় করতে সময়
চলে যায়।তার পক্ষে দেশ নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ
থাকনা। একসময়ে তার আশেপাশে কেউ থাকেনা।
জীবনের ক্লান্তি সিমানাতে এসে গৃহপালিত পশুর
বন্ধুত্ব গ্রহন করতে হয়।তার পাশে থাকে তার আর্থিক
সক্ষমতার দুর্বল সহমর্মিতা।
আর একজন দেশের কর্মী,দেশপ্রেমিকের পিছনে
থাকে হাজার মানুষের স্লোগান,সে আর্থিক দিনতাকে
তার দুর্বলতা মনে করার সুযোগ পায়না,কারন তিনি
যা অর্জন করেন তাতেই তার সুখ।তার চাওয়া পাওয়ার
মাঝখানে বসবাস করে একদল মানুষ। যারা তার
পথের বাধা কাটিয়ে তাকে অগ্রগতির সম্মুক্ষে নিয়ে যায়।
যাতে করে তার দুর্বলতার নৈতিক বহিঃপ্রকাশ ঘটেনা,
জীবনের ক্লান্তিতে সে পায় অসংখ্য মানুষের শ্রদ্ধা,
আর জীবনের শেষে সে বেচেথাকে কিংবদন্তী হয়ে
কটি মানুষ ও মানচিত্রের ধারক হয়ে..................