আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

4/23/2016

ঐতিহ্যের ধারক কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া পয়েন্টেই "বেকুটিয়া সেতু" বাস্তবায়ন চাই। দক্ষিন বঙ্গের সমৃদ্ধ কাউখালী উপজেলার বিরুদ্ধে কিসের এতো ষড়যন্ত্র,কাদের স্বার্থে ষড়যন্ত্র????

 ঐতিহ্যের ধারক কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া পয়েন্টেই "বেকুটিয়া সেতু" বাস্তবায়ন চাই। দক্ষিন বঙ্গের সমৃদ্ধ কাউখালী উপজেলার বিরুদ্ধে কিসের এতো ষড়যন্ত্র,কাদের স্বার্থে ষড়যন্ত্র????
আসুন জেনে নেই কাউখালীর ঐতিহ্য,


"কাউখালী " আয়তন: ৭৯.৬৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩১´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা, দক্ষিণে ভান্ডারিয়া উপজেলা, পূর্বে ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর সদর উপজেলা।
জনসংখ্যা ৭৪১৩৪; পুরুষ ৩৭৫৯৬, মহিলা ৩৬৫৩৮। মুসলিম ৬২৩৯৫, হিন্দু ১১৬৬০, খ্রিস্টান ৭০ এবং অন্যান্য ৯।
জলাশয় প্রধান নদী: স্বরূপকাঠি, নলছিটি, কালীগঙ্গা ও  কচা।
পিরোজপুর জেলার অন্যতম ছোট উপজেলা বা থানা কাউখালী। ১৭৯০ সালে গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক পরিবর্তন সাধন করেন। ফলতঃ বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) জেলার জন্য ১০টি থানা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করা হয়। এর ৩টি থানা পিরোজপুর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ১৭৯০ সালে কাউখালীতে থানা স্থাপিত হয়। সেখানে পরে থানা ছাড়াও আবগারী অফিস, মুন্সেফ আদালত, বাসরেজিস্ট্রারি অফিসসহ লবণ চৌকি স্থাপিত হয়।

১৮৫৯ সালে পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হয়। সঙ্গতঃ কারণে কাউখালী হতে সঙ্গে সঙ্গে অফিস আদালত স্থানান্তরিত করা সম্ভব না হলে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরের নামে কাউখালীতে অফিস-আদালত পরিচালিত হতো। আদিতে থানাগুলো নদীতীরে ভাসমান জলথানা হিসেবে কার্য সম্পাদন করত। ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ কাউখালী থানা নদীর তীরের অস্থানস্থল হতে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।

তদানীন্তন সেলিমাবাদ পরগনা ছিল লবণ ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র্। বৃহৎ লবণ শিল্প ছিল সেলিমাবাদে। সেলিমাবাদের লবণ মহলের ব্যাপক উৎপাদনশীল এলাকা ছিল কাউখালীতে।

আমরাজুরীর দত্ত পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা নেমক মহলের দারোগা ছিল। ১৭৮৩ সালের ২৫ জুন তারিখে লন্ডনের কমন্স সভার লবন রিপোর্টে দেখা যায়, রাশিয়ার অন্তর্গত আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের এক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ সালেসেলিমাবাদের লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। ১৭৭৪ সালে ঢাকার চিফ বারওয়েল লবণ ব্যবসা নিজ হসস্ত গ্রহণ করেন। তিনি পরে খাজা কাওয়ার্ককে মূল্যবান উপহার বিনিময়ে লবণ ব্যবসার জন্য গোপনে অনুমতি প্রদান করেন। যার জন্য বারওয়েল দারুনভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত হন। স্থানীয় লোকজন খাজা কাওয়ার্ককে কাও সাহেব বলে ডাকত। ফলতঃ কাও সাহেব নামের প্রচার এবং প্রসার থেকে কাওখালী, যা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে কাউখালী হয়েছে।
............চলবে...............তথ্য সংগ্রহে
 "তানভীর হায়দার রনি"

4/22/2016

ঘটনা বহুল বেকুটিয়া সেতু ও আমাদের দাবীঃ(পর্ব-১)



ঘটনা বহুল বেকুটিয়া সেতু ও আমাদের দাবীঃ(পর্ব-১)

সেতুর দৈর্ঘ্য মাত্র দুই কিলোমিটার।(ঘটনার শুরু)

১১.১২.২০১৪ কচা নদীতে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর চুক্তি স্বাক্ষর, গ্রামবাসীর আনন্দ মিছিল



পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে ২০০৮ সালে প্রতিশ্রুতি দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্কালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের লিখিত আদেশে সে বছরের মার্চে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বিবিএর প্রতিনিধি দল। সেতুটি নির্মাণে চীন সরকার অনুদান দিতেও সম্মত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অননুমোদিত প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০০৮ সালের মে মাসেই চিঠি দেয় বিবিএ। এছাড়া ইআরডির মাধ্যমে চীনা দূতাবাসকেও চিঠি দেয়া হয় একই সময়ে।


# অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী এমন দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কথা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষেরই (বিবিএ)। সে হিসেবে পিরোজপুরের কচা নদীতে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে সংস্থাটি।  উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) চূড়ান্ত হয়। কিন্তু নদীর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৮০ মিটারএ যুক্তিতে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। এ নিয়ে সরকারের এ দুই সংস্থার মধ্যে চলছে অনেক টানাপড়েন।
# চীন সরকারের অনুদানে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হিসেবে এটি নির্মাণে ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে চুক্তি করে সওজ। চুক্তির আগে বিবিএর অনাপত্তিও নেয়নি সওজ, এমনকি বিষয়টি জানানোও হয়নি তাদের।অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী, ১ হাজার ৫০০ মিটার বা তার চেয়ে বড় আয়তনের সেতু নির্মাণের দায়িত্ব বিবিএর। আর স্থানীয় চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১ হাজার ৫০০ মিটারের ছোট সেতু নির্মাণ করবে সওজ। অর্থাত্ অ্যালোকেশন অব বিজনেস না মেনে বেকুটিয়া সেতু সওজ নির্মাণ করতে চাইছে।(সুত্রঃজাতীয় সংবাদ পত্র)




# ১,জুলাই ২০১৪, জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী সেতু বিভাগের দায়িত্ব, দেড় কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা। এ দায়িত্বের অংশ হিসেবে সেতু বিভাগের মাধ্যমে মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে দেশের সর্ববৃহত্ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলতি মাসে শুরু হবে। এছাড়া সেতু বিভাগের মাধ্যমে আপাতত যেসব সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে আছেপাটুরিয়া-গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, পিরোজপুর-ঝালকাঠি সড়কে কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া সেতু, রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কে আড়িয়াল খাঁর ওপর সেতু, লেবুখালী-দুমকী-বগা-দশমিনা-গলাচিপা-আমড়াগাছি সড়কে গলাচিপা নদীর ওপর সেতু এবং কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালিয়া সড়কে পায়রা নদীর ওপর সেতু।
#বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে ২০০৯ সালে প্রাথমিক ডিপিপি প্রণয়ন করে সেতু কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সালের মে মাসে তা অনুমোদন করে পরিকল্পনা কমিশন। ২০১১ সালে সেতুটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সেতুটির দৈর্ঘ্য চূড়ান্ত হয় দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১০ দশিমক ৫ মিটার। আর সংযোগ সড়ক হবে ৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
১৩ স্প্যানবিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণে ৩১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এতে পুনর্বাসন ব্যয় হবে ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। 

প্রকল্পটির জনবল কাঠামো চূড়ান্ত করতে গত ১১, নভেম্বর ২০১৪ অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালকসহ ১৩ পদে ১১৫ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ বিভাগে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নসীমা ধরা হয়েছে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।
এদিকে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বা বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে গত অক্টোবরে ২০১৪ চীনের সঙ্গে লেটার অব এক্সচেঞ্জ সই হয়। আর গত মাসে চীনের বিশেষজ্ঞ দল প্রকল্প এলাকায় অনসাইট ইনভেস্টিগেশন শুরু করেছে। এর ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন। এর পর নকশা প্রণয়ন ও পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি ডিপিপি প্রণয়ন ও নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সেতুটি নির্মাণে ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ মিনিটস অব মিটিং (এমওএম) সই হয়। এতে বলা হয়, ১ হাজার ৪৮০ মিটার দীর্ঘ ও ১৩ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের সেতুর সঙ্গে ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার বা ৮০০ কোটি টাকা চীনের সম্ভাব্য অনুদান। এমওএম সই করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক ও চীনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স কিউ গুয়ানজো।
বর্তমান প্রেক্ষা পট,
বেকুটিয়া সেতু কোন এক পক্ষের অদৃশ্য ইশারাতে বেকুটিয়ার পরিবর্তে তুষখালী পয়েন্টে নেয়ার অপচেষ্টা চলছে এবং এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনমত গঠনে দক্ষিন বঙ্গের সকল সচেতন নাগরিকের অংশ গ্রহনে ও এইচ,এম,দিন মোহাম্মদের আহব্বানে এক সামাজিক সাধারন সভা আজ ২২.০৪.২০১৬ রোজ শুক্রবার রমনা পার্ক রেস্তরার সামনে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে এই সভাতে অংশ গ্রহন করে “বেকুটিয়া সেতুর” বিরুদ্ধে আনিত ষড়যন্ত্র প্রত্যাহারে জনমত গঠনে সহায়তা করুন।
তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশে “তানভীর হায়দার রনি”