যদি কাউখালি ও পিরোজপুর সদরের সংযোগকারী
বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতু বাস্তবায়ন না হয়,তাহলে পিছিয়ে যাবে পুরা একটি অঞ্চলের
উন্নয়ন ও অগ্রগতি,বর্তমানে পরিবহন খরচ যা হচ্ছে তার চেয়ে এই
অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যায় বেড়ে দারাবে দিগুন।উন্নয়ন অগ্রগতিতে পুরপুরি পিছিয়ে
যাবে কাউখালি,স্বরূপকাঠি,ঝালকাঠি,রাজাপুর,পিরোজপুর,বাগেরহাট সহ এর আশপাশের কৃষি ও মৎস্ নির্ভর পেশাজীবীরা।সবচেয়ে বেশি খতিগ্রস্থ হবে এই
অঞ্চলের সম্ভাবনাময় শিল্প সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প, বর্তমান প্রজন্ম বঞ্ছিতহবে
দেশের ভিতরের অনেক অজানা বিষয়থেকে এই অঞ্চলের পর্যটন গুরত্তের কিছু অংশ তুলে ধরার
চেষ্টা করলাম দক্ষিন বঙ্গ ও দেশবাসির উদ্দেশ্যে-শত বছরের পুরানো হিন্দু সভ্যতা ও
সংস্কৃতির অংশ কাউখালি,রায়েরকাঠির- রাজবাড়ি,মঠ,মন্দির,পদ্ম
পুকুর/কুমারখালির কালী মন্দির/নেসারাবাদের দুই গম্বুজ মসজিদ/কউরিখারা জমিদার
বাড়ি/বলেস্বর ডিসি পারক/বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক নাজিরপুরের ভাসমান সবজিক্ষেত/আটঘর ও
কুরিয়ানার পেয়ারা ও নার্সারি বাগান/গাবখান ও বলেস্বর সেতু/স্বরূপকাঠির
ঐতিহ্যবাহী ভাসমান নৌকা ও কাঠের বাজার/ইন্দেরহাট বন্দর ও এই বন্দর কেন্দ্রিক
বাউয়ালিদের নৌকা,গোলপাতা ও শাল গজারির বাণিজ্য/নৈসর্গিক বেকুটিয়া এলাকা/শেরেবাংলার
মামা বাড়ি সাতুরিয়া/ছারছিনা পিরসাহেবের পুণ্যভূমি,মসজিদ ও মাদ্রাসা/সন্ধ্যা/কচা/কালীগঙ্গা
নদী/গাপখান চ্যানেল/কাউখালি ও হুলারহাট নদিবন্দর/রাজবাড়ি ও জলাবারির নৈসর্গিক
অঞ্চল/শ্রীরামকাঠির ঐতিহ্যবাহী মন্দির/বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ/রূপসা
সেতু/কাউখালির চিরাপাড়ার চড় ও ইকোপার্ক/সয়নারঘুনাথপুর বিচ্ছিন্ন দ্বিপ ইউনিয়নের নৈসর্গিক
অবস্থান এর কুমারপাড়া ও জেলেপাড়া শতাব্দী পুরানো কাউখালির দক্ষিণ বাজার/মুক্তিযুদ্ধের
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গৌরবময় ইতিহাস সহ অসংখ্য নিদর্শন যার পর্যটন গুরুত্ব অনেক!!!
তাই অত্র অঞ্চলের পর্যটন,সামাজিক,সংস্কৃতিক
ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে বেকুটিয়া পয়েন্টেই বেকুটিয়া সেতু বাস্তবায়ন
চাই!!!
......তানভীর হায়দার রনি......