“ডেড অ্যাজ
ডোডো”
আজব এক পাখি
যার নাম ডোডো, আজব বলছি এই অর্থে যে এই পাখি নিজেদের বিলুপ্তি নিজেদের গঠন
প্রকৃতির কারনেই ঘটিয়েছে।
বিভিন্ন
তথ্য সুত্রে যানা যায় মরিসাস দ্বীপে ডোডো পাখির বসবাস ছিল,
এই পাখি
অন্যান্য পাখির মত করে উড়তে পারতোনা,এই পাখির দেহ ছিল মাংসলে ভরপুর,এরা মাটির
মধ্যে ডিম পাড়ত।
প্রায় ৪-৫
শত বছর পূর্বে ডাচ নাবিকেরা মরিসাস দ্বীপে আসে এবং এই দ্বীপে এসেই তাদের ভোজন
বিলাসের বস্তুতে পরিনত হয় এই ডোডো।
নাবিকেরা
এদেরকে তাড়া করে ধরে খেত এবং যাবার সময়ে জাহাজ ভরে শিকার করে নিয়ে যেত।
শুধুইকি
নাবিক? না শুধুই নাবিকরাই ডোডোর প্রধান বিলুপ্তির কারন ছিলনা,নাবিকদের জাহাজে চড়ে
আসা ইদুর ও শুয়োরের দলও ডোডোর বিলুপ্তির কারন ছিল,এই ইদুর ও শুয়োরের দল তাদের বংশ
এত দ্রুত বৃদ্ধি করেছিল যে আস্ত ডোডোর বাচ্চা সহ এর ডিমও খেয়ে ফেলত।এভাবেই নিঃশেষ
হয়ে যায় পৃথিবীর বুক থেকে ডোডো পাখি।
বই পত্র
ঘেঁটে যানা যায় ১৬৮১ সালে মৃত্যু হয় ডোডোর সর্বশেষ বংশ ধরের।
আজ পৃথিবীতে
ডোডোর অবশিষ্ট অংশ বলতে যা আছে তা হল কোমেনহেগেন মিউজিয়ামে একখানা মাথা,ব্রিটিশ
মিউজিয়ামে একখানা পা আর প্রাগে এর কয়েকখানা হাড়। আর আছে জনপ্রিয় এক প্রবাদ “ডেড
অ্যাজ ডোডো” অর্থাৎ ““ডোডোর মত
মৃত”।
No comments:
Post a Comment