আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ করোনা,কেননা শেষে তুমি নিজেই আহাম্মক বনে যাবে।মেয়ে-মানুষের কান্নার পেছনে সবসময়ে কারণ বা যুক্তি থাকেনা।সর্বাপেক্ষা দুর্বল ব্যক্তি সে যার কোন বন্ধু নেই।ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের সাথে পুরুষ কখনই পারেনা।মেয়ে মানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়,তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

11/24/2014

সাপের শঙ্খ উৎসব(Snake Dance)



সাপের শঙ্খলাগা সর্পের ভালবাসার উৎসবের সামিল।
সাপের শঙ্খলাগার দৃশ্যটি অপূর্ব এক নাচের দৃশ্য।
দেখা যায় দুটি সাপ কখনো কখনো সোজা দারিয়ে যায়
একটি সাপ অপর আরেকটি সাপকে পেঁচিয়ে ধরে।
দুটি সাপের মুখ থাকে একে অপরের মূখো মুখি কিন্তু
তারা একে অপরকে দংশন করেনা যদিওবা করে তা
হাল্কাভাবে করে।মাথা উঁচু করে,মাঝে মাঝে ঠোকাঠুকি করে,
দেহের পাক শক্তকরে।দুজন দুজনের ওপর মাথা তোলার চেষ্টা করে,
দেহের পাকগুলো কিছুদূর চলে যায়-আবার ছুটে এসে পরস্পরকে
জড়িয়ে ধরে,আবার দুরে চলে যায়।শেষ পর্যন্ত দুজনেই ক্লান্ত হয়ে পরে।
এই পুরো ঘটনাটাকেই মূলত সাপের শঙ্খলাগা বলে।এই শঙ্খ লাগার
ঘটনা ঘণ্টা খানেক ধরে চলতে থাকে।ডাঙ্গাতে এবং জ্বলে উভয়
যায়গাতেই শঙ্খলাগে।সাপের শঙ্খ লাগা দেখতে পাওয়াটা খুবই বিরল।
কয়েক বছর আগে ঢাকার পাশের একটি গ্রামের পুকুরে সাপের শঙ্খলাগার
একটি মুহূর্ত টি ভি তে প্রচারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,সাপের এই শঙ্খলাগার দৃশ্যের উপর ভিত্তি করেই আধুনিক
“snake dance”এর উৎপত্তি।



KNOW ABOUT BANGLADESHI SNAKES



বাংলাদেশের সাপ পরিচিতিঃ
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্ছলেই কম-বেশি সাপ পাওয়া যায়।
এইদেশের অঞ্চল ভেদে প্রায় ৮১ ধরনের সাপ রয়েছে।
আমাদের এই দেশের পরিচিত কয়েকটি সাপের নাম নিম্নে
উল্লেখ করলাম ভবিষ্যতে অন্য কোন লিখাতে এদের সম্পর্কে
বিশদ ভাবে আলোচনা করবো............
১/ অজগর
২/গোল বাহার
৩/দুমুখো সাপ
৪/ঘরগিন্নি
৫/ঢোঁড়াসাপ
৬/কালনাগিনী
৭/লাউডগা
৮/ডোরা বঙ্করাজ
৯/দারাজ সাপ
১০/গোখরা
১১/ফণীমনসা
১২/শাঁকিনী সাপ
১৩/কালকেউটে
১৪/চন্দ্রবোড়া
১৫/সবুজবোড়া
১৬/প্রবাল সাপ
১৭/দুধরাজ
আরজানার জন্য

11/22/2014

Why is gold so valuable?(স্বর্ণ কেন এত দামি?)



স্বর্ণ কেন এত দামি?
মানবসভ্যতার গোড়াপত্তনের কাল থেকে সোনা/স্বর্ণ হলো
ধনীদের প্রতীক।যেখানে মূর্তি পূজা প্রচলিত সেখানে পুরো
মূর্তি অর্থাৎ দেবীদেরকে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়।
সাধারণ মানুষসহ শিল্পপতি এবং ঘড়ের গৃহবঁধুরা
স্বর্ণ বলতে অজ্ঞান। বাংলাদেশে তো দিনকে দিন স্বর্ণের
খনি চোরাচালান হচ্ছে!!!!!!কি আছে এই স্বর্ণে,কেন
মানুষ স্বর্ণের জন্য এতো পাগল?আর কি কারণেই বা
এই স্বর্ণের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলছে???
আসুন জেণে নেই স্বর্ণ সম্পর্কিত কিছু তথ্য .........
কতগুলো বিষয়ের উপরে একটি বস্তুর দাম নির্ভর করে।
প্রথম কারনঃ তার দুষ্প্রাপ্যতা
দ্বিতীয় কারনঃ তার উপযোগিতা
তৃতীয় কারনঃ তার সৌন্দর্য
চতুর্থ কারনঃ প্রাকৃতিক উৎসতা অর্থাৎ প্রকৃতি থেকে
পাওয়া সত্ত্বেও যার স্থাইত্তের সময়কাল বেশি।
উপরের সব গুনগুলোই স্বর্ণে বিরাজমান।যেমনঃ
স্বর্ণ খুবই দুষ্প্রাপ্য ধাতু, রং এবং উজ্জ্বলতায় এই ধাতুর
তুলনা হয়না,ঠাণ্ডা-গরম,পাণি-বাতাস এসব কিছুতে স্বর্ণের
কোনকিছুই হয়না,এই কারণেই  স্বর্ণের দাম অনেক
বেশি হয়ে থাকে।
স্বর্ণ চকচকে হলুদ রঙের একপ্রকারের ধাতু।পাওয়া যায়
খুব কম। স্বর্ণ প্রাপ্তি মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
এবং এই স্বর্ণ পরিশুদ্ধ রূপে এবং অন্য মিশ্রিত পদার্থের
সাথে পাওয়া যায়।
মূলত স্বর্ণের উৎস প্রাকৃতিক,এবং সেই উৎস হোল খনি।
খনি থেকে স্বর্ণ তুলে আনা অনেক কষ্টসাধ্য ও ব্যায় বহুল।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব ভিক্টোরিয়া প্রদেশে একবাড় ৭০
কিলোগ্রাম ওজোনের খাঁটি স্বর্ণের এক চাঙড় পাওয়া যায়।
তবে এরকম কাণ্ড কালে ভদ্রে ঘটে।
স্বর্ণ খনি থেকে খুব অল্পঅল্প করে সংগ্রহ করা হয়,
পরে তা প্রক্রিয়াজাত করে ব্যাবহার উপযোগী করে
তোলা হয়।
সমুদ্রের তলদেশেও স্বর্ণের অস্তিত্ব রয়েছে তবে
তা উঠানোর খরচ অনেক বেশি তাই এই ক্ষেত্র থেকে
আপাতত স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয় না।
পৃথিবীতে স্বর্ণের খুব অল্প অংশই গহনাগাঁটি তৈরিতে
ব্যাবহারকরা হয় যা শতকরার দিক থেকে মাত্র ১০ ভাগ।
কিছু পরিমাণ স্বর্ণ বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যাবহার হয়।
কিছু অংশ জমানো হয়,আর বাদবাকি অংশ আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যের লেনদের কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে(১৯১৪-১৯১৮) স্বর্ণ দিয়ে
বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় চলতো।
স্বর্ণ এমন একটি ধাতু যা অন্য কোন ধাতুর চেয়ে
নরম প্রকৃতির বিধায় স্বর্ণকে সহজেই গলিয়ে,পুড়িয়ে বিভিন্ন
আকার দেয়া যায়।

স্বর্ণকে কাগজের চেয়ে পাতলাও করাযায় এবং অন্য
ধাতুর উপর প্রলেপ ও দেয়া যায়।
খাঁটি স্বর্ণকে ব্যাবহারের উপযোগী করে তুলতে হলে অন্যকোন
ধাতুর সাহায্য নিতে হয়।সাধারণ এসিডে স্বর্ণের কোন বিক্রিয়া ঘটেনা
একমাত্র একোয়া রেজিয়া স্বর্ণকে গলাতে পারে।এটা তৈরি করা হয়
একভাগ নাইট্রিক এসিড ও তিনভাগ হাইড্রক্লোরিক এসিড দিয়ে।
  তবে স্বর্ণের মুল কাজ হল লকারের অন্ধকারে আত্মগোপন করা।
মানুষ অর্থসম্পদের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকে নিজের কাছে এবং
লকারে গচ্ছিত রাখে।এর মূলকারণ কাগুজে মুদ্রা বিভিন্ন ভাবে
নষ্ট হতে পারে,কিন্তু স্বর্ণ চিরকাল টীকে থাকে।
  বর্তমানে আফ্রিকা,রাশিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি
স্বর্ণ উৎপাদন কারি দেশ।আমাদের প্রতিবেশী ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে
কিছু স্বর্ণ পাওয়া যায়।




11/12/2014

বরিশাল বিভাগের পটভুমি



বরিশাল বিভাগের পটভুমি

      প্রাচীন কালে বরিশাল বাঙ্গালা নামে পরিচিত ছিলো কালের বিবর্তনে এই বাঙ্গালা শব্দটি বাকলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে শোনা যায় ডঃ কানুনগো নামক এক ব্যক্তি বাকলা বন্দর নির্মাণ করেন সামুদ্রিক বন্দরে আরব পারস্যের বণিকেরা বাণিজ্য করতে আসতেন দশম শতকে দক্ষিণ পূর্ববঙ্গে চন্দ্র রাজবংশ চন্দ্রদ্বীপ নামে একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে বাকলা ছাড়াও চন্দ্রদ্বীপের অংশ ছিলো বর্তমান মাদারীপুর,গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট জেলার অংশবিশেষ চতুর্দশ শতকে সমগ্র বাংলাদেশ যখন মুসলমানদের দখলে তখন দনুজমর্দন দেব এই অঞ্চলে একটি স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন যা বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ নামে পরিচিত ছিলো ১৭৯৭ সালে এখানে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়  ১৮০১ সালে এই জেলার সদর দপ্তর গিরদে বন্দরে (বর্তমান বরিশাল শহর) স্থানান্তর করা হয়
     বরিশালের নামকরণ সম্পর্কে অনেক মতভেদ আছে বড় বড় শালগাছের কারণে (বড়+শাল)= বরিশাল; পর্তুগীজ বণিক বেরী শেলীর প্রেম কাহিনী থেকে বরিশাল; বড় বড় লবণের গোলার জন্য বরিশাল ইত্যাদি গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের চৌকি ছিল জেলার লবণের বড় বড় চৌকি বড় বড় দানার জন্য ইংরেজ এবং পর্তুগীজ বণিকরা অঞ্চলকে ‘‘বরিসল্ট’’ বলত বরিসল্ট পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল হয়েছে বলেও অনেকের ধারণা
     বরিশালের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে তদানীমত্মন বৃটিশ সরকার ১৯১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল ডিষ্ট্রিক্ট আ্যডমিনিষ্ট্রেশন রিপোর্টে ফরিদপুর খুলনা জেলাসহ বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি বরং বরিশাল খুলনা বিভাগের অংশে পরিণত হয় পাকিস্তান আমলে বরিশালসহ এই জেলায় মোট ছয়টি মহকুমা ছিলো পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়
    বাংলার শস্য ভান্ডার বরিশাল এক সময় ‘‘এগ্রিকালচারাল ম্যানচেষ্টার’’ হিসেবে পরিচিত ছিল বরিশালের অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল বাংলার অর্থনীতি পলি গঠিত উর্বর অঞ্চল ছিল কৃষির জন্য উৎকৃষ্ট এবং বসবাসের জন্য উত্তম কৃষিই ছিল অর্থনীতির মূল উৎস পর্যটক রালফ ফিস ১৫৮০ সালে বাকলাকে অত্যন্ত সম্পদশালী আখ্যায়িত করে এখানকার চাল, কার্পাস, রেশম বস্ত্র সুবৃহৎ ঘরের কথা উল্লেখ করেছেন
    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অঞ্চলের মানুষ অসামান্য সাহসিকতার সাথে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে  বীরশ্রেষ্ঠে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার এবং বীরশ্রেষ্ঠে সিপাহী মোস্তফা কামাল ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সন্তান যুদ্ধকালীন সময়ে নৌ-পথে হেমায়েত বাহিনীর বীরত্ব গাঁথা ইতিহাসে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে
      বরিশাল অঞ্চল ১৮০০ সাল পর্যন্ত হিন্দু অধ্যুষিত ছিল পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমানদের আগমন, ধর্মান্তর এবং হিন্দুদের ব্যাপকহারে দেশ ত্যাগের ফলে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য ঘটে বর্তমানে এখানে কিছু সংখ্যক খৃষ্টান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষও বসবাস করে প্রাচীনকালে বরিশালে ‘‘চন্দ্রভদ্র’’ নামে এক জাতির বাস ছিল বর্তমান নমঃশুদ্ররা তাঁদেরই বংশধর সামাজিক আচার অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক দিক থেকে নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রেখে পটুয়াখালীর দক্ষিণ অঞ্চলে একটি জাতিগোষ্ঠী বাস করে, যারা রাখাইন নামে পরিচিত
      বরিশাল অঞ্চলের জনগণ সত্যিকার অর্থে আরামপ্রিয় ভোজন বিলাসী পারিবারিকভাবে এরা খুবই ঘনিষ্ঠ আন্তরিক তেলে-ঝালে রকমারী সুস্বাদু খাবারের পরে একটা মিষ্টান্ন ছাড়া তাদের তৃপ্তি আসে না এখানে খেঁজুরের রস, গুড়, নারিকেল, দুগ্ধছানার তৈরি পিঠার প্রকার এর কাছাকাছি অতিথি আপ্যায়নে বরিশালের জনগণের সুনাম সর্বজনবিদিত
     শিল্পসাহিত্যের দিক থেকে বরিশালের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে কবি জীবনান্দ দাস, সুফিয়া কামাল, আহসান হাবীব, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বিজয় গুপ্ত, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, বরিশাল বিভাগের কৃতি সন্তান অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভাগের স্মরণীয় ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন বাংলার বাঘ খ্যাত শেরে-বাংলা ,কে, এম, ফজলুল হক, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আবদুর রব সেরনিয়াবাদ, আরজ আলী মাতুববর প্রমুখ
Top of Form

Bottom of Form